Time & Date

ফরিদপুরে ধর্ষণের অভিযোগে স্কুলে আটকে বাবা-ছেলেকে মারধর, গ্রেফতার ৪

ফরিদপুরের মধুখালীর একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আটকে রেখে বাবা-ছেলেকে মারধরের ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।


জাহাপুর ইউনিয়নের আড়ুয়াকান্দি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘটা এই ঘটনায় সোমবার (২৭ মার্চ) দুপুরে প্রেস বিফ্রিংয়ের আয়োজন করে পুলিশ।


পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান জানান, ফরিদপুরের জাহাপুর ইউনিয়নে অবস্থিত আড়ুয়াকান্দি স্কুলের শিক্ষিকা লিপি আক্তার তার স্কুলের মা হারা দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে নিজের কাছে রাখতে একটি নাটকের অবতারণা করেন। সেই মতে তিনি ওই শিশুকে দিয়ে বাবা ও ভাইয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনান। এ অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় ৯-১০ জন যুবক গত ১৭ মার্চ শিশুটির বাবা ও সৎ ভাইকে ধরে নিয়ে স্কুলের কক্ষে আটকে রেখে বেধড়ক মারধর করে। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে।


এ ঘটনার পর শিশুটির বাবা বাদী হয়ে মধুখালী থানায় একটি মামলা করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ ধর্ষণের ঘটনাটি মিথ্যা এবং বাবা-ভাইকে মারধরের ঘটনাটি স্কুল শিক্ষিকা লিপি আক্তারের সাজানো বলে জানতে পারে। পরবর্তীতে ২৫ মার্চ নির্যাতনের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় শুরু হয়।


পুলিশ সুপার জানান, শিক্ষিকা লিপি আক্তার তার কাছে শিশুটিকে রাখতেই বাবা ও সৎ ভাইয়ের বিরুদ্ধে কথিত ধর্ষণের ঘটনাটি সাজান। তদন্ত করে যা মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়। এ ঘটনার পর শিক্ষিকা লিপি আক্তার পলাতক রয়েছে। তাকে আটকের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।


এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ এ পর্যন্ত পাঁচ জনকে আটক করে। দুইজন আদালতে আত্মসমর্পণ করে বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।


জানা গেছে, উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের সালামতপুর গ্রামের দিনমজুর। তিনি ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে ১০ বছর আগে থেকে জাহাপুর ইউনিয়নের মাঝকান্দি এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। ওই শিশুর মা মারা গেছে বেশ কয়েক বছর আগে। সে বাবা ও সৎ ভাইয়ের সঙ্গে থাকতো।


স্টাফ রিপোর্টার

জে.আর জিসান আলম ব্যাপারী

গাইবান্ধা নিউজ প্রতিনিধি 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.