প্রেমিকা ও জুয়ার নেশায় আসক্ত হয়ে মাকে খুন করলো সাদ বান আজিজুর
তার মায়ের নাম উম্মে সালমা। গতকাল ১১ ই নভেম্বর সা'দ তার এক পোস্টের মাধ্যমে জানায়, 'আমার আম্মুকে আজ দুপুরের আগে বাসায় ডাকাতি করতে এসে খুন করে রেখে গিয়েছে; সবাই আমার আম্মুর জন্য দোয়া করবেন আল্লাহ যাতে উনাকে জান্নাত নসিব করেন।'
তারপর আরেক পোস্টে জানায়, 'আমার আম্মুর জানাজা আমার গ্রামের বাড়ি কাহালু উপজেলার অন্তর্গত পাচপীর বাজার থেকে পশ্চিমে আড়োবাড়ি গ্রামে আজ সোমবার বিকেল ৩ টায় অনুষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ।'
কিন্তু তার সবকিছুই ছিলো নাটক।
তার রিলেশন ছিলো এক মেয়ের সাথে। মা তা জেনে যায়!মা বাঁধা হয়ে দাঁড়ালো! তাছাড়াও ইদানিং তাদের ঘর হতে প্রতিদিন ৫০০/১০০০ টাকা হারিয়ে যাচ্ছে। মা দোষ দেয় সা'দকে! এ নিয়ে মায়ের সাথে বেশ কিছুদিন রাগারাগি ও ঝগড়া হয়েছে!
১০ই নভেম্বর। সাদ গিয়েছে মাদ্রাসায়। ঐদিন সাদ না খেয়েই মাদ্রাসায় চলে যায়। টাকা দেয় নাই বলে ঝগড়া মা'র সাথে। সা'দ দুপুরে হয়তো বাসায় ফিরবে ভেবে মা তার জন্য রান্না করছিলো। সকাল এগারোটায় ক্লাস বিরতি হলে সাদ বাসায় ফিরে।ফিরে দেখে মা কুমড়া কাটছে! মা'রা কি পারে সন্তানের সাথে গোস্বা করে রান্না না করতে? পারে না।তিনিও পারেননি।
কিন্তু কে জানতো, এই রান্না তার শেষ রান্না! সাদ প্লান করেই বাড়ীতে ফিরে।তখন বাড়ী ফাঁকা থাকে।বাবা থাকে মাদ্রাসায়। অন্যান্য সদস্যরাও থাকে ব্যস্ত!
মায়ের প্রতি ক্ষুব্ধ সা'দ ভেবে নেয় মাকে হ*ত্যা করবে। প্লান অনুযায়ী মা'য়ের পিছন থেকে নাক ও মুখ চেপে ধরে। টেনেহিঁচড়ে ঘরের ভিতরে নিয়ে যায়! সেখানেই দম বন্ধ করে নিজ মাকে খু*ন করে এই সাদ!
শুধু খুন করেই ক্ষান্ত হয়নি! তার হাত পা বেঁধে রেখে দেয় ডিপ ফ্রিজে। তারপর বাড়ীর কিছু জিনিসপত্র নিজে ভেঙ্গে ডাকাত মেরেছে বলে নাটক সাজায়! কিন্তু সত্য কি আর গোপন থাকে?
মায়েরা কি কখনো সন্তানের খারাপ চায়? সা'দেরও খারাপ চায়নি! মা হয়তো ভেবেছে ছেলেকে টাকা খরচ থেকে বাঁচাতে হবে। এখন এই বয়সে এতো টাকা খরচ করলে পরবর্তীতে তার জন্য বিপদ হবে। মা হয়তো ভেবেছে,ছেলে টাকা নিয়ে খারাপ কিছু করে কিনা! মা হয়তো ভেবেছিলো এ বয়সে রিলেশনে থাকলে লাইফ ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই বাঁধা দিয়েছিলো! তার ভালোর জন্যই সব করেছিলো!
কিন্তু প্রতিদান হিসেবে সন্তান কী দিলো?
সন্তান কি তার নিজের শরীরের রক্ত, চামড়া বিক্রি করে মায়ের গর্ভে ধারণের ঋণ শোধ করতে পারে? অথচ সা'দ খু*ন করে হিসাব চুকিয়ে দিলো!
স্টাফ রিপোর্টার
গাইবান্ধা নিউজ ৭১, সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা
কোন মন্তব্য নেই